Feature
গরমের তীব্রতা বাড়ছেই। বিগত কয়েক মাসে ঢাকার মানুষ টানা যে গরম দেখেছে তা দেখা যায়নি এর আগের কোন বছরে। অতিরিক্ত গরমে একদিকে হাসফাঁস উঠছে নগরবাসীর মধ্যে অন্যদিকে দেখা দিচ্ছে নানাবিধ রোগ। অনেক ক্ষেত্রে তীব্র গরম আর পানি শূণ্যতা কারনে হিট স্টোক এর ঘটনা হতে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলের উদ্বেগের বিষয় কি করে গরমের অস্বস্তি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা যায়। গরম সইতে না পেরে যাদের সামর্থ্য নেই তারাও এখন ছুটছে এয়ারকন্ডিশন কিনতে। রাজধানীর বহু শো-রুমে এখন সংকট তৈরি হয়েছে বিলাসী এই পণ্যটির। কারন একসাথে এত এসির চাহিদা এর আগে কখনই তৈরি হয়নি। বড় বড় কোম্পানিগুলোও গ্রাহকের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে হিমশীম খাচ্ছে। আবার এসি কিনলেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে তাও নয়। অনেক এলাকায় এখন তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে । রাজধানীতে যত পরিবার বাস করে তার মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক পরিবারের সব রুমে এয়ার কন্ডিশন রয়েছে। যাদের বাসায় এখনো এসি নেই তারাও চায় বাড়ির প্রতিটি রুম ঠান্ডা থাকুক। তবে চাইলেই তো আর হবেনা, রুমগুলো ঠান্ডা রাখতে কিছু টিপস নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করতে চাই।
বাংলাদেশে জন্মেছেন কিন্তু চাকুরি বা ব্যবসার সুবাদে বাস করছেন অন্য দেশে। এমন প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগের স্বপ্ন নিজ দেশের রাজধানীতে একটি বাড়ি কিংবা ফ্লাট কেনার। তবে বাড়ির স্বল্পতায় বড় অংশটি এখন ঝুঁকছে রেডি ফ্লাটের দিকে। আবার অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় শহরের কোন এলাকায় ফ্লাট কিনবেন তা বুঝতে পারছেন না। আশা করি আমাদের এই লিখা আপনাকে রাজধানী ঢাকার কোথায় ফ্লাট কিনবেন সেই উত্তর পেতে সহায়তা করবে। এই অংশে আমরা যারা উচ্চবিত্ত তারা যেই এলাকায় ফ্লাট কিনতে পছন্দ করেন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। সাধারণত ফ্লাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকার অবস্থান, যাতায়াত ব্যবস্থা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বাজার ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে একজন ক্রেতা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আমাদের এই লিখা আপনাকে আপনার ভবিষৎ বাসস্থান কোথায় হবে তার একটি গাইডলাইন দিতে পারবে।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘেষণায় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১০ শতাংশ কর দিয়ে যে কেউ আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ পাবে। যেই সুবিধা চলমান ছিলো পরের অর্থবছরেও। তাতে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গতিও ফেরে আবাসন খাতে। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সেই সুবিধা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় অর্থমন্ত্রী। আর তাতেই মনক্ষুন্ন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা।
আপনার বাড়ি কিংবা ফ্লাট কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে অর্থ নিয়ে বসে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি সরল সুদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যে কোন জায়গায় ঋণ দিতে প্রস্তুত। কিছুটা সহজ শর্ত আর কোন গোপন চার্জ না থাকায় অনেকেই হাউজ বিল্ডিং ঋণের উপর ভরসা রাখছেন। আজকে আমরা জানাতে চেষ্টা করবো কিভাবে আপনিও স্বপ্ন পূরণের ফ্লাট কিনতে তাদের কাছ থেকে ঋণ পাবেন।
রাজধানী ঢাকাতে নিজের পরিবারের জন্য ফ্লাট কিনতে আগ্রহী অনেকেই। তবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে কেনার সাহস হয়না সবার। যারা ভালো আয় করেন তারাও এই বাজারে পারিবারিক খরচ চালিয়ে ফ্লাট কেনার পুরো অর্থ একসাথে করতে পারেন না। তবে তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, যারা ফ্লাট কিনছেন তার বড় অংশই নিয়েছেন ব্যাংক ঋণ সুবিধা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও বেশ আগ্রহী ফ্লাট কেনায় ঋণ দিতে। আমাদের এই লিখার উদ্দেশ্য কোন ব্যাংক কিভাবে আপনাকে ঋণ দেবে, পরিশোধের উপায় কিংবা সুদের হার কেমন তা নিয়ে আপনাকে একটা ধারণা দেয়া।
২০২১ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিজিট এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে। যার মধ্যে ছিলো দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। প্রতিষ্ঠানটি এর বাইরেও আরো কয়েকটি দেশে ইনভেস্টমেন্ট সামিট করার পরিকল্পনা করেছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড-বিডা, বেজা, বেপজা সহ সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে যথেষ্ঠ আন্তরিক। বলে রাখা ভালো এই বিদেশি বিনিয়োগ মানে কিন্তু শুধু বিদেশিদের বিনিয়োগ তা নয়, সবগুলো আয়োজনে ফোকাস করা হচ্ছে সেদেশের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশিদের।
স্বনামধন্য একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন নাসির উদ্দিন (ছদ্মনাম)। বাস করেন মিরপুর এলাকায়। পরিবার নিয়ে একটি মাঝারি মানের ফ্লাটে ভাড়া থাকেন তিনি। জানালেন, প্রতি মাসে ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, গ্যাস, বিদ্যুৎবিল সব মিলে তার পকেট থেকে চলে যাচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। মাসে ৪০ হাজার টাকা বেতন পেয়েও নিজের মতো চলতে পারছেননা তিনি। আক্ষেপ করে বললেন, “সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় যখন মাসের শুরুতে বাড়িওয়ালা প্রায় অর্ধেক টাকা নিয়ে যায়” প্রায় একযুগ ধরে চাকুরি করেও তেমন কোন সঞ্চয় নেই তার। শুধু তাই নয় নাসির উদ্দিন জানালেন তার একমাত্র সন্তানকে স্কুলে পড়ানো, মাসের বাজার খরচ, পরিবারের অন্যান্য ব্যয়, নিজের আসা যাওয়ার ভাড়া সব মিলে প্রায় মাসেই তাকে ধার করে চলতে হচ্ছে। কথায় কথায় নিজেই হিসেব করে বললেন, গত এক যুগে প্রায় ২২ লাখ টাকা ভাড়া দিয়েছেন তিনি। অথচ তার নিজের বাড়ি হলে এই আয় দিয়েই স্বাচ্ছন্দে চলতে পারতেন তিনি।
করোনা মহামারির তেজ কমে আসায় উত্তাপ বেড়েছে পণ্যমূল্যে। বিশ্বব্যাপী অসহনীয় হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। রড, সিমেন্ট, ইট, বালু সহ বাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পণ্যমূল্যে বৃদ্ধিতে ঘি ঢেলে দিয়েছে। যার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে আরো একধাপ বেড়েছে বাড়ির দাম।