ফ্লাট কেনার ঋণ নিয়ে বসে আছে হাউজ বিল্ডিং

ফ্লাট কেনার ঋণ নিয়ে বসে আছে হাউজ বিল্ডিং

আপনার বাড়ি কিংবা ফ্লাট কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে অর্থ নিয়ে বসে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি সরল সুদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যে কোন জায়গায় ঋণ দিতে প্রস্তুত। কিছুটা সহজ শর্ত আর কোন গোপন চার্জ না থাকায় অনেকেই হাউজ বিল্ডিং ঋণের উপর ভরসা রাখছেন। আজকে আমরা জানাতে চেষ্টা করবো কিভাবে আপনিও স্বপ্ন পূরণের ফ্লাট কিনতে তাদের কাছ থেকে ঋণ পাবেন।

দেশব্যাপী হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশনের ৬১ টি শাখা অফিসের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সেই ঋণ। সাধারণত নতুন ফ্লাট ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-বিএইচবিএফসি। এর বাইরেও ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়ি নির্মানের ঋণও প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। ফ্লাট ক্রয়ের জন্য এলাকাভেদে ৪০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা, পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় এ ঋণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে পূর্ণ বয়স্ক, সুস্থ ও চুক্তি করার যোগ্যতা সম্পন্ন এবং অবশ্যই ঋণ পরিশোধে সক্ষম বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক ফ্ল্যাট ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

 

প্রশ্ন আসতে পারে ঋণের জন্য কোথায় কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি কর্পোরেশনের দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৬১ টি শাখা অফিসের মাধ্যমে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। যে এলাকায় আপনি ফ্লাট কিনতে ইচ্ছুক সেই এলাকার জোনাল অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিএইচবিএফসি’র ওয়েবসাইট www.bhbfc.gov.bd ভিজিট করে সকল অফিসের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাওয়া যাবে।

আপনি চাইলে ঘরে বসেও অনলাইনের মাধ্যমে ঋণ অ।বেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইডে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এবার আসা যাক, ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কেমন। বিএইচবিএফসি এর ঋণে ৯% সরল সুদ প্রযোজ্য হবে। ঋণ গ্রহীতার নিজস্ব বিনিয়োগ হতে হবে ন্যূনতম ২৫%, অর্থাৎ ১ কোটি টাকার ফ্লাট কিনতে চাইলে আপনার নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে কমপক্ষে ২৫ লাখ।

 

 

বাকি ৭৫ লক্ষ টাকা আপনি ঋণ হিসেবে পেতে পারেন। তবে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সক্ষমতা ও এলাকার সিলিং এর কারণে বিনিয়োগের পরিমান বৃদ্ধি পেতে পারে।  ঋণের পরিমান নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরকারি ফ্লাটের দাম প্রতি বর্গফুট ৬৫০০ টাকা, বেসরকারি ফ্লাটে প্রতি বর্গফুট ৬০০০ টাকা নির্ধারণ করে মোট দামের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এই দুই মেগা সিটির বাইরে অন্য জায়গায় এই দাম কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া এলাকাভেদে গ্যারেজের জন্য বাড়তি ৫ লাখ টাকা যোগ হতে পারে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৫, ১০, ১৫, ২০ বছর এমন চারটি ধাপে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। তবে গ্রাহক চাইলে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করে মেয়াদের আগেই তার ঋণ পরিশোধের সুযোগও রয়েছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটিতে।

 


There are no comments yet

^ Go up