কানাডায় বাড়ি কিনতে বিদেশীদের নিষেধাজ্ঞা
করোনা মহামারির তেজ কমে আসায় উত্তাপ বেড়েছে পণ্যমূল্যে। বিশ্বব্যাপী অসহনীয় হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। রড, সিমেন্ট, ইট, বালু সহ বাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পণ্যমূল্যে বৃদ্ধিতে ঘি ঢেলে দিয়েছে। যার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে আরো একধাপ বেড়েছে বাড়ির দাম।
নিরাপদ ও শান্তির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত কানাডাতে গেলো এক বছরে চাহিদা বেড়েছে বাড়ি কেনার। অতিরিক্ত চাহিদাকে কেন্দ্র করে বাড়ির দাম বেড়েছে কয়েক ধাপে। আর তাতেই টনক নড়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের। আবাসন বাজারের উত্তাপ দূর করতে আগামী দুই বছরের জন্য বাড়ি কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে দেশটিতে। অবশ্য তা শুধুমাত্র বিদেশী বিনিয়োগকারিদের জন্য। অর্থাৎ আগামী দুই বছর কানাডাতে কোন বাড়ি কিনতে পারবেনা অন্য দেশের কেউ। যার ফলে কোন বাংলাদেশি চাইলেও কানাডার কোন গন্তব্যে বাড়ি কিনতে পারছেনা। এতে বাংলাদেশের বাজারে ফ্লাট কিংবা প্লটের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে কানাডাতে বড় অংকের বিনিয়োগ হয় বাড়ি কিংবা ফ্লাট কেনায়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ি কানাডাতে যে কেউ আয়ের উৎস গোপন করে বাড়ি কিনতে পারে। যার ফলে গেলো দুই বছরে অতিরিক্ত চাহিদাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে বাড়ির দাম।
এদিকে ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের বাজেটে স্থান পাচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি। এর মধ্য দিয়ে উন্নত বিশ্বের কোন দেশের ব্যয়বহুল হাউজিং মার্কেটকে বশে আনতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কঠোর অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। হাউজিং- এর খরচ ও ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে এরইমধ্যে চাপে রয়েছে তার সরকার। তবে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছেন বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীরা। এছাড়া যেসব বিদেশির কানাডার নাগরিকত্ব রয়েছে ও দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা তাদের উপরও থাকছেনা বাড়ি কেনার নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয় কানাডিয়রা যাতে আবাসন বাজারে ঢুকতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাজেটে কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকে নতুন সঞ্চয়ী হিসাব ও প্রথম বার বাড়ি কেনার ক্রেতাদের ট্যাক্স ক্রেডিটে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অবশ্য এমন নিয়মে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বাংলাদেশের আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। আবাসন খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই বছরে বাংলাদেশে অবিক্রিত বহু ফ্লাট বিক্রি হবার সম্ভাবনা জোরালো হলো। কানাডাতে কিনতে না পেরে অনেকেই বাংলাদেশে ফ্লাট কিংবা বাড়ি কেনায় আগ্রহী হবে। তাতে খাতটি আরোও গতি পাবে বলে আশাবাদ আবাসন ব্যবসায়ীদের। আর বিশ্বের যেকোন জায়গায় বসে বাংলাদেশে স্বপ্নের ফ্লাট কিংবা বাড়ি কিনতে ভরসা রাখুন এপেক্স প্রপার্টি লিমিটেডের উপর। যাদের দক্ষ টিম আপনার জন্য বাড়ি কিংবা ফ্লাটের যাবতীয় ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে তারপরই আপনাকে কেনার অফার করছে।
There are no comments yet
Leave a Comment