ফ্লাট কিনতে ব্যাংক লোন

ফ্লাট কিনতে ব্যাংক লোন

রাজধানী ঢাকাতে নিজের পরিবারের জন্য ফ্লাট কিনতে আগ্রহী অনেকেই। তবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে কেনার সাহস হয়না সবার। যারা ভালো আয় করেন তারাও এই বাজারে পারিবারিক খরচ চালিয়ে ফ্লাট কেনার পুরো অর্থ একসাথে করতে পারেন না। তবে তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, যারা ফ্লাট কিনছেন তার বড় অংশই নিয়েছেন ব্যাংক ঋণ সুবিধা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও বেশ আগ্রহী ফ্লাট কেনায় ঋণ দিতে। আমাদের এই লিখার উদ্দেশ্য কোন ব্যাংক কিভাবে আপনাকে ঋণ দেবে, পরিশোধের উপায় কিংবা সুদের হার কেমন তা নিয়ে আপনাকে একটা ধারণা দেয়া।

ব্যাংক ঋণের সুদ ও শর্ত

ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদের হার বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। তবে ব্যাংকভেদে এই সুদের হার ৭ থেকে ৯ শতাংশ হতে পারে। আবার কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই সুদের হার কিছুটা বেশি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আবাসন খাতে ফ্ল্যাট কেনা ও বাড়ি বানানোর জন্য গ্রাহক সর্বোচ্চ ঋণ পেতে পারেন দুই কোটি টাকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তবে এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ ব্যাংক দিতে পারবে, বাকি ৩০ শতাংশ গ্রাহককে বহন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি এক কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনবেন বলে ঠিক করেন, তাহলে ব্যাংক আপনাকে ঋণ দেবে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ, বাকি ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে আপনাকে। তবে ব্যাংক থেকে আপনি কত টাকা ঋণ পাবেন সেটি নির্ভর করে আপনার মাসিক বেতন ও আয়ের ওপর ।

ঋণ পেতে যা লাগবে

ঋণগ্রহীতা ২৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সের হতে হবে। যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁদের মাসিক আয় হতে হবে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা। আবার ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালারাও এই ঋণের সুবিধা পেতে পারেন। তবে সরকারি চাকরিজীবীদের এই ঋণ পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। বেসরকারি চাকরিজীবী হলে আপনার চাকরির স্থায়িত্ব, মাসিক বেতন, ঋণখেলাপি, অন্যান্য আয়ের ওপর ব্যাংকঋণ নির্ভর করে।

 

 

কোন ব্যাংকে সুদের হার কেমন?

সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি আবাসন ঋণ নিয়েছেন আইএফআইসি ব্যাংক থেকে। ব্যাংকটির ‘আমার বাড়ি’ নামে আলাদা একটি স্কিম রয়েছে। এই ব্যাংক বাড়ি নির্মাণে দুই কোটি ও সেমিপাকা ভবন নির্মাণে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। অন্যান্য ব্যাংক আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ব্যাংক এশিয়ায় সুদের হার ৯ শতাংশ। সিটি ব্যাংকে সাড়ে ৭ শতাংশ। আবার সোনালি ব্যাংকও ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইপিডিসি ও আইডিএলসির আবাসন খাতের ঋণের সুদের হার প্রায় ১২ শতাংশ।

 

কাগজপত্র যা প্রয়োজন

ফ্ল্যাট কিনতে ঋণের জন্য কাগজপত্র কিছুটা কমই লাগে। এ জন্য ফ্ল্যাট ক্রেতা ও ডেভেলপারের সঙ্গে সম্পাদিত ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রি করা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে। এ ছাড়া জমির মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, অনুমোদিত নকশা ও অনুমোদনপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং ফ্ল্যাট কেনার রেজিস্ট্রি করা বায়না চুক্তিপত্রের মূল কপি এবং বরাদ্দপত্র লাগবে। বাড়ি নির্মাণ ঋণের জন্য প্রথমেই দরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশার সত্যায়িত ফটোকপি, মূল দলিল, নামজারি খতিয়ান, খাজনা রসিদের সত্যায়িত ফটোকপি। এ ছাড়া লাগবে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানের সত্যায়িত কপি। জেলা বা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ১২ বছরের তল্লাশিসহ নির্দায় সনদ (এনইসি)। সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া জমির ক্ষেত্রে লাগবে মূল বরাদ্দপত্র ও দখল হস্তান্তরপত্র।

আপনি কোন হয়রানির শিকার না হয়ে সহজেই ব্যাংক লোন পেয়ে যান সেই প্রত্যাশা এপেক্স প্রপার্টি পরিবারের। তবে এরপরও কোন ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হলে আপনার পাশে রয়েছে টিম এপেক্স প্রপার্টি।


There are no comments yet

^ Go up