ফ্লাট কেনার আগে যা জানা জরুরী

ফ্লাট কেনার আগে যা জানা জরুরী

 

সভ্যতার এই সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে অতি আধুনিক। যৌথ পরিবার থেকে এখন মানুষ একক পরিবারের দিকে যেমন ঝুঁকছে ঠিক তেমনি শহরে জায়গা কেনার চেয়ে ফ্লাট বা এপার্টমেন্ট কেনাতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। তার মধ্যে আবার সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধন ঘটাতে চায় সবাই।

রাজধানীর কোন এলাকা আমাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী অর্থাৎ অফিস, বাচ্চার স্কুল কিংবা আত্নীয়-স্বজনের বাসার অবস্থান- সব মিলিয়ে ফ্লাট কেনার চিন্তা করি আমরা। সেই স্বপ্ন পূরণে কোন প্রকার ঝক্কি ঝামেলা হয়ত কারোরই প্রত্যাশা নয়। আমাদের এই লিখার উদ্দেশ্য আপনাকে সেই ফ্লাট কেনার ব্যাপারে সচেতন হতে সহায়তা করা। বলে রাখা ভালো, অনেকেই ফ্লাট কিনে নানা ভাবে হয়রানি কিংবা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কেউ সময় মতো ফ্লাট বুঝে পায়নি, কোন কোন ফ্লাটে হয়ত ওয়ারিশ নিয়ে ঝামেলা রয়েছে, কোথাও কোথাও যেই মানের মেটারিয়াল দেয়ার কথা সেটি দেয়া হয়নি এমন নানাবিধ অভিযোগ প্রতিনিয়ত শোনা যায়। তবে আপনি আমি একটু সচেতন হলেই এইসব ঝামেলা থেকে অনেকটাই দুরে থাকা যায়। তাই কি কি আপনার যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন খুব সংক্ষিপ্তভাবে আমরা সেইসব বিষয় তুলে ধরতে চাই আপনার সামনে।

 

 

কোম্পানির খোঁজ খবর নেয়া:

আপনি যেই কোম্পানির কাছ থেকে ফ্লাটটি কিনছেন তাদের সম্পর্কে আপনার খোঁজ নিতেই হবে। শুরুতে মিষ্টি কথা বলে পরে ঝামেলা হয়ত কারোরই কাম্য নয়। তাই সেই কোম্পানি কেমন? কতগুলো প্রজেক্ট তারা করেছে? সময়মতো হ্যান্ডওভার দিয়েছে কিনা ইত্যাদির খোঁজ নিতে পারেন। তার সাথে যেই জমিটির উপর প্রজেক্ট তৈরি করা হচ্ছে সেটার সবশেষ মালিকের সাথে তার চুক্তি হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারেন। সেই জমির সিএস, আরএস সহ অন্যান্য খতিয়ান ঠিক রয়েছে এ মর্মে নিশ্চিত হয়ে নিন। যেই কোম্পানি তৈরি করছে তাদের সরকারি অনুমোদন, রাজউকের অনুমোদন কিংবা মেম্বারশিপ রয়েছে কিনা তা ভালো ভাবে যাচাই করুন। যদি সে রিহ্যাবের মেম্বার হয় তাহলে কোন প্রতারণা হলে রিহ্যাব থেকেও আপনাকে সহযোগীতা করা হবে তাই এই বিষয়গুলোর যাচাই করা সচেতন ক্রেতার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

 

চুক্তিপত্র যাচাই করুন ভালোভাবে

ফ্লাট কেনার ক্ষেত্রে চুক্তিপত্রটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন, সেটি ভালোভাবে পড়ুন। আপনার চুক্তিটি আইনসিদ্ধ হয়েছে কিনা তাও জেনে নিন। চুক্তিপত্রে উল্লেখিত শর্তগুলোও ভালোভাবে মিলিয়ে নিন, আপনি যেভাবে চেয়েছেন তা সব উল্লেখ্য আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে একদমই ভুলবেন না। পাশাপাশি নির্মান সামগ্রী যেমন চেয়েছেন তা উল্লেখ্য আছে কিনা দেখে নিন। ফ্লাটের নকশা যাচাই করে ভালো ভাবে বুঝে নিন। ফ্লাটের নকশা একজন ক্রেতা হিসেবে আপনাকে দিতে বাধ্য নির্মাতা কোম্পানি। আপনাকে যে ফ্লাটের কথা বলা হয়েছে ঠিক সেই ফ্লাটটির কথা উল্লেখ্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখুন। যেমন যেই ফ্লোরে সেটি অবস্থিত তা যেনো পরিবর্তন করতে না পারে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ্য রয়েছে কিনা দেখুন। মনে রাখবেন, পরবর্তী যে কোন আইনগত বিষয়ে আপনার চুক্তিপত্রে যা লিখা আছে তাই গণ্য হবে, মুখে কি বলা হয়েছে তা নয়। প্রয়োজনে একজন ভালো আইনজীবি দিয়ে কাগজপত্রগুলো যাচাই করে নিতে পারেন।

 

 

কখন আইনি সহায়তা নেবেন:

কেউ ই চায়না ফ্লাট কিনে আইনি ঝামেলায় যেতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেতেও হয়না। তবে তারপরও যদি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের কমিটমেন্ট ভঙ্গ করে তখন আইনি সহায়তার বিকল্প নেই। চুক্তিতে বেধে দেয়া সময় অনুযায়ি যদি আপনার ফ্লাট নির্মান না হয়, ফ্লাট বুঝিয়ে দিতে গরিমসি কিংবা ফ্লাটে যে নির্মান সামগ্রী দেয়ার কথা তার চেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয় তখন বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। তবে তার আগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে বসে সমাধান করা গেলে সবচেয়ে ভালো। যদি তারা কোন সমাধান না দেয় তখন সালিশি আইন ২০০১ অনুযায়ি সালিশি ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। তখন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। তবে ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠনে ব্যর্থ হলে তখন মামলা করা যেতে পারে। এই আইনের বিধিবিধান লঙ্ঘন করলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আর ৩ বছরের জেল হতে পারে। তাই চুক্তিতে সব কিছু ভালো ভাবে উল্লেখ্য করে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কি, খুব দুশ্চিন্তায় পরে গেলেন ...?

চিন্তা নেই,  এজন্য যাবতীয় সহায়তা দিতে আপনার পাশে রয়েছে এপেক্স প্রপার্টি। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের দক্ষ টিম আপনাকে উপহার দেবে আপনার স্বপ্নের ফ্লাট। পাশাপাশি যাবতীয় ঝক্কি ঝামেলা মোকাবেলায়ও বদ্ধ পরিপর এপেক্স প্রপার্টির দক্ষ আইনি টিম। ফ্লাট যারা তৈরি করেছে তাদের যাবতীয় খোঁজ নেয়ার পরই এপেক্স প্রপার্টি সেই ফ্লাটটি নিয়ে কাজ শুরু করে। তারপরও যেকোন আইনি ঝামেলা মোকাবেলা করেই আপনাকে সেই ফ্লাট কেনার অফার করা হয়। এপেক্স্ প্রপার্টি যুক্তরাষ্ট্রে এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রপার্টি ব্যবসা করে আসছে। আমাদের চেয়ারম্যান মি. মাইক কাজীর প্রত্যাশা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে যারাই ফ্লাট কিনবেন তাদেরকে চিন্তামুক্ত একটি ফ্লাট হস্তান্তর করার। তাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে টিম এপেক্স প্রপার্টির পরামর্শ নিতে একদমই ভুলবেন না।

ধন্যবাদ

টিম এপেক্স প্রপার্টি  


There are no comments yet

^ Go up