নির্মান সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম, ফ্লাটের দাম বৃদ্ধির শঙ্গা !
করোনা মহামারির সময়ে এক প্রকার থমকে যায় পুরো বিশ্ব। জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত বিশ্ববাসি ভুলে যায় নতুন বাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের কথা। তবে মহামারির প্রথম ঢেউ কিছুটা কমে আসার পর থমকে যাওয়া বিশ্ব পুরোদমে প্রাণ ফিরে পায়। তাতে আটকে থাকা হাজারো নির্মাণাধিন ভবন পুনরায় নির্মাণ শুরু হয়। সেই সময়ে রড, সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রিগুলোর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন। বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি করা হয় রড, সিমেন্ট সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর। তার সাথে করোনার সময়ে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। পরে অতিরিক্ত চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কয়েকগুন বাড়ানো হয় জাহাজ ভাড়া।
তার উপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে থাকে। আরেকধাপ দাম বাড়তে থাকে রড, সিমেন্টের। বিশ্বের মোট রডের বড় একটি অংশ আসে রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে, যুদ্ধের প্রভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংকের উপর সুইফট নিষেধাজ্ঞা দিলে নতুন করে সেই দেশ থেকে কিছু আমদানি করতেও ঝামেলায় পরে ব্যবসায়ীরা। এমন অযুহাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হু হু করে বেড়েছে রডের দাম। মাসের ব্যবধানে অতি প্রয়োজনীয় এই নির্মাণ সামগ্রীটির দাম বেড়ে যায় টন প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাবের হিসেবে শুধু রড, সিমেন্ট নয় দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ইট, বালু, টাইলস, পাথর, থাই এলুমিনিয়াম সহ প্রায় সবকটি নির্মাণ সামগ্রী। রিহ্যাবের এক জরিপে উঠে এসেছে গেলো দুই বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রডের দাম। ২০২০ সালে যেখানে প্রতি টন রড দেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬৪ হাজার টাকা, মার্চ ২০২২ শেষে তা উঠে এসেছে ৯০ হাজার টাকার ঘরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই নির্মাণ সামগ্রীটির সর্বোচ্চ দাম। দুই বছর আগে ভালো মানের এক বস্তা সিমেন্ট ৪০৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪৬০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দুই বছরে বালুর দাম বেড়ে প্রায় চারগুন হয়েছে। ইটের দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুন।
শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে থাই এলুমিনিয়াম প্রতি বর্গফুটের জন্য খরচ গুনতে হতো ২৫০ টাকা, বর্তমানে গুনতে হচ্ছে ৪২০ টাকা। একইভাবে গ্রীল-রেলিং, পিভিসি পাইপ, স্যানেটারি ফিটিংস, ইলেকট্রিক সামগ্রীর দামও বেড়েছে।
আর এমন বাস্তবতায় আংশিক নির্মাণ হওয়া বিল্ডিংয়ের মালিকরা পড়েছেন দ্বিমুখী বিপদে। একদিকে খরচ বৃদ্ধির চাপ অন্যদিকে নির্মাণ সামগ্রীর অপ্রাপ্যতা তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে কয়েকগুন। নির্মাণ হওয়ার পর সেই ফ্লাট বিক্রি নিয়েও রয়েছে নানা
There are no comments yet
Leave a Comment