ভবন নির্মানে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি লাগবে কেন?

ভবন নির্মানে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি লাগবে কেন?

ভবন নির্মানে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি লাগবে কেন?

রাজধানী ঢাকাতে কোন ভবন নির্মান করতে গেলে এখন থেকে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন লাগবে, এমন নিয়ম করতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক এর তত্ত্বাবধানে নির্মান হয় ভবন। এছাড়া ভবন তৈরিতে অনুমোদন নিতে হয় আরো দুইটি কর্তৃপক্ষের যারা হলেন, ফায়ার সার্ভিস ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে এরপরও দেখা যায় ভবন তৈরির পরে অনেক ক্ষেত্রে তা ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন নকশার সাথে সামঞ্জসপূর্ন হয়না। অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বেগ পোহাতে হয় খোদ সিটি কর্পোরেশনকে।

 

 

তাই এবার সব ভবনকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে গেলো ৬ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঘোষনা দিয়েছেন রাজধানীর ভিতরে কোন ভবন তৈরিতে অনুমোদন নিতে হবে সিটি কর্পোরেশনের। অর্থাৎ দুই সিটির যেটির আওতায় যেই প্রজেক্ট সেই সিটির কাছ থেকে আগে থেকেই অনুমোদন নিতে হবে। তবে এমন নিয়মের বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা সুনিদিষ্ট নয়। যদিও এই ঘোষনার পরই আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা এর বিরোধিতা করে আসছেন। তাদের যুক্তি এতে বাড়ি নির্মানে হয়রানি বাড়বে কয়েকগুন।

 

 

এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে রিয়্যাল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব। সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এতে দ্বৈত প্রশাসন তৈরি হবে, বাড়বে ভোগান্তি। তিনি আরো বলেন, এমনিতেই ভবন তৈরির নকশা পাশ করতে গেলে হয়রানি পোহাতে হয় মালিকদের, তার উপরে দুই জায়গায় অনুমোদন নিতে হলে তা সিমাহীন দূর্ভোগে রুপ নিতে পারে। এজন্য আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবি চলমান নিয়মেই ভবন নির্মান করতে দেয়া উচিত। তবে আবাসন ব্যবসায়িদের এমন আপত্তির পর সম্প্রতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম আবার ঘোষনা দিয়েছেন ভবন নির্মানে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন না নিলেও তাদেরকে জানাতে হবে। যদিও এই জানানোর প্রদ্ধতি নিয়ে এখনো পরিস্কার কোন গাইউলাইন পায়নি নির্মাণকারিরা। তবে আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজধানী ঢাকাতে নির্মাণকারিদের কোন হয়রানি হয় এমন নিয়ম থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।

 

 

তারা বলছেন, নির্মাণ সামগ্রির বাড়তি দামে এমনিতেই নাজেহাল তারা, তার উপর কোন বাড়তি ঝামেলা যোগ হলে ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত হবেন লক্ষ লক্ষ নির্মাতা । সে হোক আবাসন ব্যবসায়ী কিংবা বাড়ির মালিক সবারই চাওয়া ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া তার কাঙ্খিত ভবন নির্মান করার। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দফায় দফায় দাম বাড়ছে রড, সিমেন্ট সহ অন্যান্য নির্মান সামগ্রিক। এতে ভবন নির্মান করতে গিয়ে এমনিতেই হিমশীম খাচ্ছে নির্মান সংশ্লিষ্ট্ররা। রিহ্যাব নেতারা জানিয়েছেন, এমন  পরিস্থিতি চলমান থাকলে বিল্ডিং তৈরিতে নিরুৎসাহিত হবে আবাসন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে মধ্যবিত্তের চাহিদার কথা মাথায় রেখে যেসব নির্মাতারা ভবন তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা রয়েছে বেশ চাপে। আবার ভবন নির্মানের খরচ বাড়লে ফ্লাটের দাম বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে।


There are no comments yet

^ Go up